শিক্ষা শুধু জীবন প্রস্তুতির উপায় নয়, তা জীবন-যাপনের প্রণালীও বটে। শিক্ষাকে জীবনব্যাপি অনুসরণীয় প্রক্রিয়া হিসেবে দেখতে হবে এবং অভিজ্ঞতাকে শিক্ষা লাভের স্বাভাবিক কৌশল হিসেবে বিবেচনায় রাখতে হবে। আধুনিক শিক্ষা দর্শনে শিক্ষার্থীদের ব্যক্তিসত্তা বিকাশের ওপর বিশেষ গুরুত্ব আরোপ করা হয়েছে। শিক্ষার্থীদের ব্যক্তি স্বাতন্ত্রবোধ জাগ্রত করা এবং তাকে আত্মসত্তার আস্থাবান করে তোলাই শিক্ষার প্রধান লক্ষ্য হওয়া উচিত।
নব্বই দশকের প্রথম দিকে সিলেট জেলার জকিগঞ্জ উপজেলার ৪নং খলাছড়া ইউনিয়নের অন্তর্গত ঈদগাহ বাজার এলাকায় একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয় স্থাপনের উদ্দেশ্যে অত্র এলাকার বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ মিলে প্রথমে আলাপ আলোচনা করেন। অত:পর ১৫ ডিসেম্বর ১৯৮৪ সালে এলাকার সর্ব সাধারণকে নিয়ে তৎকালীন খড়াছড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জনাব মোঃ আছহাব উদ্দিন আহমদের ডাকে এলাকার বিশিষ্ট মুরব্বী লোহার মহল গ্রামের জনাব আব্দুল মুক্তাদির সাহেবের বাড়ীতে তাঁর সভাপতিত্বে এক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত সভায় স্থানীয় ঈদগাহ বাজার সংলগ্ন একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয় স্থাপনের সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত গৃহিত হয়। এতে এলাকার বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। উক্ত সভায় ১৬ সদস্য বিশিষ্ট একটি অর্গানাইজিং কমিটি গঠন করা হয়- যার সভাপতি নির্বাচিত হন জনাব মোঃ আছহাব উদ্দিন আহমদ এবং বিদ্যালয়ের জন্য ভূমি প্রদানের জন্য অঙ্গীকার করেন (পরবর্তীতে দান করেন) জনাব আলহাজ্ব আব্দুল খালেক। প্রথমে ঈদগাহ বাজারের উত্তর পার্শ্বে নির্মাণের খুটি স্থাপন করা হয়। কিন্তু, কতিপয় দুস্কৃতিকারী খুটিটি উপড়ে ফেলে এবং নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে বর্তমান স্থানে স্কুল ভবনটি নির্মিত হয়। ১.৬৮ থেকে বর্তমানে ১.৯২ একর ভূমিতে বর্তমান বিদ্যালয়ের আয়তন এসে দাঁড়িয়েছে। পিছিয়ে পড়া অত্র এলাকার শিক্ষা এগিয়ে নিতে বিদ্যালয়টি অনন্য অবদান রেখে চলছে। ভবিষ্যতে কারিগরী শাখা খোলা এবং কলেজ পর্যায়ে বিদ্যালয়টিকে উন্নীত করার ব্যাপারে প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাকালীন প্রধান শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন এমএলএ জনাব মোঃ আব্দুল লতিফ-যিনি একাধারে বৃটিশ, ভারত, পাকিস্থান ও বাংলাদেশের এমএলএ ছিলেন। নিম্নে বিদ্যালয়ে প্রয়োজনীয় তথ্যাবলী উপস্থাপন করা হলো।